পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে | Passport Korte Ki Ki Lage 2023

 



পাসপোর্ট আবেদন করতে যাওয়ার আগে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই বিষয়ে জানা দরকার। কেননা, পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে ২০২ সালে তা না জেনে আবেদন করতে গেলে বেশ ভাল সম্ভাবণা আছে যে আপনাকে অতিরিক্ত কাগজ সংগ্রহ করার জন্য ফেরৎ পাঠানো হবে।আবার আপনি যদি ঘরে বসে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে চান, তাহলেও পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা আগে থেকেই জেনে গুছিয়ে নিলে ঝামেলায় পড়তে হবে না।


পাসপোর্ট আবেদন সফল করার পথে আপনার সাথে থাকতেই আমাদের Passport Korte Ki Ki Lage 2023 সালে তা নিয়ে আয়োজন। চলুন, নিরবিচ্ছিন্নভাবে পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করতে ই পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩ এ তা জেনে নেওয়া যাক।পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩ | Passport Korte Ki Ki Lage 2023

এমআরপি পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি লাগে :


পাসপোর্ট আবেদন ফরম বা ডি.আই.পি ফরম-১ ডাউনলোড করে ২ কপি প্রিন্ট করুন। ফরম দুইটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

ফরমের ৪র্থ পৃষ্ঠায় একজন সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।

পূরণকৃত ফরমে সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। তবে আবেদনকারী ১৫ বছরের কম অর্থাৎ, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে বাবা ও মায়ের স্টাম্প সাইজের দুই কপি করে রঙ্গিন ছবিও আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। ছবি লাগানোর পর তা সত্যায়িত করতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম সনদ পত্রের দুই কপি (সত্যায়িত করে নিতে হবে)।

ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, গাড়ি চালক কিংবা অন্যান্য কারিগরী পেশায় জড়িতদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদপত্র সত্যায়িত করে সংযুক্ত করতে হবে।

অফিসিয়াল পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য সরকারী আদেশ তথা গভ. অর্ডার বা জিও সংযুক্ত করতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তাগণের ক্ষেত্রে পেনশনবুকের ফটোকপি প্রদান করলে সাধারণ ফিতে জরুরী সেবা পাবেন।ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে | E Passport Korte Ki Ki Lage 2023

পাসপোর্ট আবেদন করা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেই সমস্যাকে কিছুটা হলেও লাঘব করতে পেরেছে ই পাসপোর্ট আবেদন সেবা। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ই পাসপোর্টের জন্য কোন কাগজ, ছবি সত্যায়িত করতে হয় না এবং ই পাসপোর্ট আবেদনপত্র অনলাইনে করতে পারবেন।


ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে :


১। পরিচয়পত্র: জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।


২। বাবা মায়ের ভোটার আইডি: অপ্রাপ্ত বয়স্ক পাসপোর্ট আবেদনকারীর জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি বাবা ও মায়ের ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার।


৩। কারিগরী সনদ: কারিগরী পেশার সাথে জড়িত থাকলে টেকনিক্যাল সনদ আপলোড করতে হবে।


৪। স্টুডেন্ট আইডি কার্ড: ছাত্র হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড অথবা প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি ও ফটোকপি পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিতে হবে।


৫। ই পাসপোর্ট আবেদনপত্র: পাসপোর্ট আবেদন করার পর আঞ্চলিক অফিসে যাওয়ার সময় অনলাইন আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি (পেজের দুই পাশেই প্রিন্ট করবেন)।


৬। পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ: ব্যাংকে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রশীদ।


৭। ঠিকানার প্রমাণপত্র: বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হলে স্থায়ী ঠিকানার নাগরিক সনদপত্র থাকতে হবে। এবং বর্তমান ঠিকানার কমিশনার নাগরিক পত্র অথবা চাকরিরত প্রতিষ্ঠান এর প্রত্যয়ন পত্র বা আইডি কার্ড (কর্মজীবিদের ক্ষেত্রে), শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র অথবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড (ছাত্রদের ক্ষেত্রে)।


৮। পুরাতন পাসপোর্ট: পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে হবে এবং মূল পাসপোর্ট আঞ্চলিক অফিসে নিয়ে যেতে হবে।


৯। জিডি কপি: হারানো পাসপোর্ট পুনরায় প্রিন্ট করার জন্য পাসপোর্টের ফটোকপি ও জিডির ফটোকপি দিতে হবে এবং মূল জিডি কপি প্রদর্শন করতে হবে।


১০। বৈবাহিক সনদ: প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ বা নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে। এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি কার্ডে অবিবাহিত থাকলে স্বামী বা স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড আপলোড করতে হবে।ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে | E Passport Korte Ki Ki Lage 2023

পাসপোর্ট আবেদন করা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেই সমস্যাকে কিছুটা হলেও লাঘব করতে পেরেছে ই পাসপোর্ট আবেদন সেবা। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ই পাসপোর্টের জন্য কোন কাগজ, ছবি সত্যায়িত করতে হয় না এবং ই পাসপোর্ট আবেদনপত্র অনলাইনে করতে পারবেন।


১১। জিও বা এনওসি: সরকারি কর্মচারীদের GO, NOC বা প্রত্যয়নপত্র, PRL Order বা পেনশন বই থাকলে আপলোড করুন, এতে নিয়মিত ডেলিভারি পাসপোর্ট ফি জমা দিয়েও জরুরী সেবা তথা এক্সপ্রেস ডেলিভারি পাবেন।


ব্যাংক রশীদ, অনলাইন আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি, জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম সনদপত্র এর ফটোকপি, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে বাবা ও মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি একসাথে স্ট্যাপল দিয়ে সংযুক্ত করে বাংলাদেশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।মাতা অথবা পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

BRC English Version অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।

আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ বছরের কম হলে পাসপোর্ট করতে যা লাগবে:


মাতা অথবা পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

BRC English Version অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।

আবেদনকারীর বয়স ১৮-২০ বছর হলে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে:


জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা,

BRC English Version অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ।

পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের বেশি হলে ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক। ‍তবে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন বা দূতাবাসে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে BRC English Version অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়েও আবেদন করা যাবে।


পাসপোর্ট করতে পেশা সম্পর্কিত কি কি কাগজ লাগে

ছাত্রদের পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র:


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র।

স্টুডেন্ট আই ডি কার্ড।

সরকারি চাকুরীজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র:


GO অথবা, NOC

পেনশন বুক বা PRL Order (অবসরপ্রাপ্তদের জন্য)কৃষকদের পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র:


জমির পর্চা এর ফটোকপি

ব্যবসায়ীদের জন্য পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র:


প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স ফটোকপি।

বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট এর সময় মূল কপি সাথে নিয়ে যেতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদনের জন্য বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ন তথ্য:


১. অবিবাহিত উল্লেখ করলে কোন ডকুমেন্ট দেখাতে হবে না


২. বিবাহিত উল্লেখ করলে বিবাহ সনদ লাগবে। নামের শেষে স্বামীর পদবী যোগ করতে কাবিননামা/ম্যারেজ সার্টিফিকেট কিংবা হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে। সেইসাথে স্বামী ও স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড দেখাতে হবে।


৩. ডিভোর্স হলে প্রাক্তন স্বামীর নামের পদবী বাদ দিতে ডিভোর্স পেপার সাবমিট করতে হবে।


স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে


পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি:

ডেলিভারি


৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতা ই পাসপোর্ট ফি


৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতা ই পাসপোর্ট ফি


রেগুলার


4,025 টাকা


6,325 টাকা


এক্সপ্রেস/জরুরী


6,325 টাকা


8,625 টাকা


সুপার এক্সপ্রেস


8,625 টাকা


12,075 টাকা


ডেলিভারি


১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতা ই পাসপোর্ট ফি


১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতা ই পাসপোর্ট ফি


রেগুলার


5,750 টাকা


8,050 টাকা


এক্সপ্রেস/জরুরী


8,050 টাকা


10,350 টাকা


সুপার এক্সপ্রেস


10,350 টাকা


13,800 টাকা


পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এ বিষয়ে পরিশেষ

পাসপোর্ট করার জন্য কি কি কাগজ লাগে তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক:

  • ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ অরিজিনাল ও ফটোকপি
  • আবেদনের প্রিন্ট কপি
  • পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ
  • স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার সনদ
  • স্টুডেন্ট আইডি কার্ড/প্রাতিষ্ঠানিক আইডি কার্ড/প্রত্যয়ন পত্র

আশা করি, ই পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এ বিষয়ে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। Passport korte ki ki lage নিয়ে যদি কোন সংশয় থাকে বা পাসপোর্ট বিষয়ক যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ